ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় এনজিও আশার ঋনের কিস্তির টাকা পরিশোধ নিয়ে ঝগড়ায় আহত-২, বসতঘরে ভাংচুর ও লুটপাট

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  কক্সবাজারের চকরিয়ায় এনজিও’র ঋনের কিস্তির টাকা পরিশোধের কথা কাটাকাটির জেরে হামলায় সংস্থাটির স্থানীয় দলপতি ও তাঁর বৃদ্ধ মাকে বেদড়ক পিঠিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। এসময় তাদের বসতঘরে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। রোববার সকালে উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কসাইপাড়া এলাকায় এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আক্রান্ত পরিবারটির পক্ষথেকে সোমবার রাতে ছয়জনকে আসামী করে চকরিয়া থানায় এজাহার দায়ের করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নস্থ স্থানীয় এনজিও সংস্থা ” আশা” নামক সংগঠন থেকে ঋন নেন কসাইপাড়া এলাকার শতাধিক মহিলা। এনজিও সংস্থার কসাইপাড়া এলাকার ঋন গ্রহিতা মহিলাদের কিস্তি উত্তোলন করার জন্য সংগঠনের সভানেত্রী করে দেয়া হয় ওই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে সজরুন্নাহারকে।

প্রতি সপ্তাহের মতো রোববার সকালে সংস্থাটির স্থানীয় সজরুন্নাহার বসতঘরে ঋনের কিস্তির টাকা তুলেন তিনি। নির্ধারিত সময়ে মধ্যে এনজিও আশা সংস্থার ফিল্ডের কর্মকর্তা উপস্থিত হলে ওই এলাকার ঋন গ্রহিতা কামালের স্ত্রী আমেনা বেগম ও তার কন্যা শারমিন আক্তার, একই এলাকার হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী নিলুফা বেগমর কাছ থেকে কিস্তির টাকা দেয়ার জন্য বললে তারা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ঋনের টাকা দেবেনা বলে জবাব দেন। এমনকি তারা ডাকাডাকি করে তাদের আত্মীয় স্বজন নিয়ে একপর্যায়ে সভানেত্রী সজরুন্নাহার সাথে কিস্তির টাকা নিয়ে তর্কে জড়িয়ে হামলার ঘটনা ঘটে।

ওই সময় দলপতি সজরুন্নাহারকে স্থানীয় কামাল উদ্দিন, নিলুফা বেগম তার স্বামী হেলাল উদ্দিন, বেলাল, আমেনা বেগম, শারমিন আক্তারের নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা বেদড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে মাটিতে ফেলে দেয়। এসময় সজরুন্নাহারকে তার মা খদবানু বাঁচাতে গেলে অভিযুক্তরা তাকে বেড়দক মারধর করে জখম করে। ঘটনাস্থল থেকে আহতদের স্থানীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। পরে অভিযুক্তরা জড়ো হয়ে সজরুন্নাহার বসতঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সজরুন্নাহার ভাই আক্তার হোসেন বাদী হয়ে ওইদিন রাতে থানায় ছয়জনকে আসামী করে একটি এজাহার দায়ের করেন।

চকরিয়া থানার ওসি মো.হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনার বিষয়ে থানায় একটি এজাহার দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য থানার এস আই চম্পক বড়ুয়াকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্তে ঘটনার সত্যটা পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #

পাঠকের মতামত: